“রাহাত খান ছিলেন নিভৃতচারী বড়মাপের গুণী মানুষ”

সাতকাহন ডেস্ক

রাহাত খান ছিলেন নিভৃতচারী বড়মাপের মানুষ। প্রখ্যাত সাংবাদিক, কথা সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক রাহাত খান বরাবরই প্রচারবিমুখ ছিলেন। ছিলেন সাংবাদিক বান্ধব আদর্শ গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।

স্মরণ সভায় এভাবেই তাঁর বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্মকে তুলে ধরেছেন বক্তাগণ।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এ-ই দেশ বরেণ্য সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক রাহাত খান স্মরণে  এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।ঢাকাস্থ কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম এ সভার আয়োজন করে।

আর সভায় স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তাঁর জীবন ও কর্মের নানা দিকে আলোকপাত করেন।

বক্তব্য দিতে গিয়ে  রাহাত খানের সহধর্মিণী অর্পনা খান তাঁর স্মৃতি ধরে রাখতে জন্মদিনে রাহাত খান পদক চালু ও স্মারক গ্রন্থ প্রকাশের দাবী জানান। তিনি বলেন, আজ তাঁদের বিবাহবার্ষিকীও বটে।

রাহাত খান সারা জীবন সাংবাদিকতাকে ভালবেসে গেছেন। রাহাত খানকে নিয়ে তথ্যচিত্র ও স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ করা হলে তাঁর সম্পর্কে মানুষ আজীবন জানতে পারবে। তাঁর প্রতি যথার্থ সম্মান প্রদর্শন করা হবে।

এ সময় অর্পনা খান আরও বলেন, প্রতিবছর রাহাত খানের জন্মদিনে তাঁর স্মরণে যেন একটি স্মৃতিপদক চালু করা হয় এবং  তা যদি তাঁর গ্রামের বাড়িতে আয়োজন করে তুলে দেয়া হয়, তবে রাহাত খানের আত্মা আরও বেশী শান্তি পাবে।

ঢাকার কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আজিজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ স্মরণসভায় বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সদ্য প্রয়াত রাহাত খান ষাটের দশক থেকে দৈনিক ইত্তেফাকে কর্মরত ছিলেন। তিনি পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার পূর্ব জাওয়ার গ্রামের সন্তান রাহাত খান একুশে পদক (১৯৯৬), বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৭৩), সুহৃদ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৭৫), সুফী মোতাহার হোসেন পুরস্কার (১৯৭৯), আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি পুরস্কার (১৯৮০), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৮২) এবং ত্রয়ী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৮) সহ অসংখ্য পদকে ভূষিত হয়েছেন।   

বিশাল সাহিত্য কর্ম ও সৃষ্টি  সম্ভার রেখে চলতি বছরের ২৮ আগস্ট শুক্রবার তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন।