ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনায় ১৯ ফেব্রুয়ারি মিশরে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং কায়রোস্ত Genius International School যৌথভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২০ উদযাপন করা হয়েছে।
দুপুর ১২টার দিকে স্কুল প্রাঙ্গণে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত এবং বাংলাদেশ ও মিশরের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। স্কুলের প্রিন্সিপাল মিজ্ মারভাত সমবেত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীর উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস তাঁর স্কুলে আয়োজন করার জন্য দূতাবাস কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যায়ণরত প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী, ২৫ জন শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য্য ও বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ভূমিকার উপর আলোচনা এবং ভাষা আন্দোলনের প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয় এ অনুষ্ঠানে।
ভাষা শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স জনাব এটিএম আব্দুর রউফ মন্ডল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য্যের উপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
আলোচনার শুরুতে তিনি মিশরীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্কুলের প্রিন্সিপালসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে দিবসটি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উদযাপনে অনুমতি দানের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
এ সময় তিনি তাঁর বক্তব্যে ভাষা আন্দোলনে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তার বক্তব্যের শেষের দিকে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাথে মাতৃভাষা দিবস বিশেষত বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রাণবন্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হয়।
শিক্ষক শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত আগ্রহভরে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, উন্নয়ণ ও ভাষা আন্দোলনের গৌরবময় ইতিহাস সম্পর্কে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ গ্রহন করেন।
অনুষ্ঠানের শেষে “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি” বিখ্যাত গানটি চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স মিশরীয় শিক্ষার্থীদের সাথে পরিবেশন করেন।
সর্বশেষে স্কুলের শিক্ষার্থীরা দূ’টো মিশরীয় দেশাত্ববোধক আরবী গান পরিবেশন করে।
শেষে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক শিক্ষার্থীদেরকে দূতাবাসের পক্ষ থেকে স্যুভ্যানির হিসেবে “বাংলাদেশ পতাকা, BANGLADESH, Embassy of Bangladesh, Cairo-খচিত” একটি করে ব্যাগ স্মারক উপহার প্রদান করা হয়।
এ স্কুলটি দূতাবাসের সাথে Friendship Co-opertion সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরে সম্মতি দিয়েছে।
ভবিষ্যতে স্কুলটির সাথে দূতাবাস এমন অনুষ্ঠান আয়োজন করলে মিশরে বাংলাদেশের ইমেজ অনেকগুন বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।