গুজবে গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য ম্লানের চেষ্টা ইসলামি ব্যাংকের

বিশেষ প্রতিবেদন
ইসলামি ব্যাংক

সততা, নিয়মনীতি,  শৃঙ্খলা আর দায়িত্ববোধের কারণে দেশের  ব্যাংকিং সেবা খাতে ঈর্ষনীয় সাফল্য অর্জন  করেছে ইসলামী ব্যাংক। দেশের ১৮ কোটি মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড একটি আস্থা ও ভরসার নাম। 

রেমিট্যান্সের ৫২ ভাগ ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে আসছে।  ইসলামী শরীয়াহ ধারায় প্রবর্তিত দেশের প্রথম এ ব্যাংকটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আমানত, বিনিয়োগ  এবং  গ্রাহক সেবার মানকে অনন্য উচ্চতায় উন্নীত করেছে।

প্রতিষ্ঠার  দীর্ঘ ৪০ বছরে অসাধারণ দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে  গড়ে ওঠা  ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশের  এ গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস-ঐতিহ্য কোনো কোটারি স্বার্থান্ধ মহলের অপপ্রচারণা ও গুজবে ম্লান হবার নয়।

ইতিমধ্যে কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও-ই কোটারী স্বার্থান্ধ গোষ্ঠীর বিশেষ মিশন বাস্তবায়নে ব্যাংকটির এ গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ও ইতিহ্য ম্লান করতে ব্যাংকটির মধ্যমণি বাংলাদেশের শিল্প বিপ্লবের অগ্রণী সৈনিক এস আলমকে জড়িয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা লুপাট করার দায়সারা, কাণ্ডজ্ঞানহীন এবং  তথ্য ও তত্ত্বহীন প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রচার করে ভাবমূর্তি বিনষ্টের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অথচ ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-ই একমাত্র ব্যাংক - যে ব্যাংকে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে সম্ভাব্যতা-যোগ্যতা যাচাই না করে বিনিয়োগ এবং ঋণ প্রদানের কোনো ইতিহাস নেই। 

আর এ কারণে  উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রচারিত এ-সব প্রপাগণ্ডা  ও গুজব ব্যাংকটির অদম্য অগ্রযাত্রায় কোনো প্রভাব ফেলেনি। কেনন না, যে সব অর্থ লুপাটের কথা বলে প্রতিষ্ঠানটির প্রাণ ভ্রমরা এস আলমের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের প্রয়াস চালানো হয়েছে - সে-সব অর্থও নিয়মনীতি ও বিধিমালা অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এ ব্যাংক থেকে ব্যক্তিগতভাবে অর্থ তছরূপের কোনো সুযোগ নেই। এ ব্যাকের সেবা গ্রহণকারী আমানতকারী, ঋণ - বিনিয়োগ সেবা গ্রহণকারী ব্যক্তিবর্গ এ পরম সত্যটি জানেন বলেই এ ধরণের অপপ্রচার, প্রপাকাণ্ডা এবং  গুজব কোনো প্রকার বিরূপ প্রভাব পড়েনি।

অথচ ইসলামিক ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডকে নিয়ে  মনগড়া প্রতিবেদন প্রচার ও প্রকাশের মাধ্যমে গুজব ও প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়ে সেবা গ্রহণকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর অপপ্রয়াস অব্যাহত রয়েছে। 

বিশেষ করে একটি   সংবাদপত্রে প্রকাশিত  ইসলামী ব্যাংকে “ভয়ংকর নভেম্বর”’,  শীর্ষক একটি  সংবাদের বিষয়ে সুস্পষ্ট  বক্তব্য দিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ । এতে বলা হয়েছে , নাবিল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান শিমুল এন্টারপ্রাইজসহ আটটি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া ইসলামী ব্যাংকের ঋণের বিষয়ে যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তা যথাযথভাবে উপস্থাপিত হয়নি।

গ্রুপটি চাল, ডাল, গম, চিনি ও ভোজ্যতেলের অন্যতম বৃহৎ সরবরাহকারী হিসেবে কাজ করছে। যার মাধ্যমে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া আনোয়ারা ট্রেড ইন্টারন্যাশনালসহ অন্যান্য যে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে, তারাও যথাযথ ব্যাংকিং নিয়ম মেনে ঋণ নিয়েছে।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মনে করেন,  বর্তমানে  দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর পর্যাপ্ত জোগান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ ধরনের পণ্যে ইসলামী ব্যাংক ঋণ বাড়িয়েছে। এ ছাড়া আমদানি বৃদ্ধি, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা সম্প্রসারিত হওয়ায় যথাযথ মূল্যায়ন করে পর্যাপ্ত জামানত গ্রহণ ও ব্যাংকের নিয়ম মেনেই তাদের ঋণ দেওয়া হয়েছে। 

এ ছাড়া এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ খেলাপি হয়নি। ঋণ দেওয়া অর্থ তাদের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং নির্দিষ্ট সময়েই এ বিনিয়োগের টাকা ব্যাংক ফেরত পাবে বলে আমরা দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে।

এ ব্যাপারে ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের এ্যাসিস্ট্যান্ট সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এ এম শহিদুল এমরান দৈনিক সাতকাহনকে বলেন, ভিন্ন-ভিন্ন মিডিয়ায় ভিন্ন ভিন্ন অঙ্কের টাকা অনিয়মের মাধ্যমে প্রদানের যেসব গল্পের অবতারণা করা হয়েছে তাতে মৌলিক সব তথ্য অনুপস্থিত।  এ নিয়ে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।  আর তাতেই প্রকৃত সত্য ওঠে এসেছে।

A PHP Error was encountered

Severity: Core Warning

Message: Cannot load module 'memcached' because required module 'igbinary' is not loaded

Filename: Unknown

Line Number: 0

Backtrace: